Skip to content Skip to main navigation Skip to footer

Family Blog

Stories Penned
By Our Family Members

চৌধুরী সাহেব

প্রতিটি পরিবারের একটি শিকড় থাকে আমাদের শিকড়ের শুরু চৌধুরী সাহেব থেকে

আমাদের বাড়ির বড়দের কাছ থেকে যতটুকু জানা যায় চৌধুরী সাহেব অত্যন্ত আল্লাহ ভীরু, পরহেজগার ব্যক্তি ছিলেন 

চৌধুরী সাহেব নিজ যোগ্যতায় ও পরিশ্রমে অপরিচিত একটি সমাজে নিজের জন্য একটি সফল অবস্থান তৈরি করেন 

হিন্দু অধ্যাসিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও চৌধুরী সাহেব নিজ জায়গায় তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ স্থাপন করেন 

যা প্রমাণ করে  উনি অত্যন্ত রুচিশীল একজন ব্যক্তি ছিলেন 

ওই প্রতিকূল অবস্থাতেই নিজে হজ পালন করেন এবং নিজ বাড়িতে একটি ইসলামিক পরিবেশ কায়েম করেন 

ব্রিটিশ যুগে চৌধুরী সাহেবের বাসস্থান সহ আশপাশের এলাকা ( বর্তমান চৌধুরী বাড়ি ) একওয়ার হয়ে ব্রিটিশদের ক্যাম্প হওয়ার প্রস্তাব উঠে

কিন্তু চৌধুরী সাহেবের বিচক্ষণতা এবং স্থানীয় প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে  ব্রিটিশরা ক্যাম্প না করে , ওনাকে চৌধুরী উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেন

Read more

বিজয় সিংহ দীঘি

বিজয় সেনে এর দীঘি বাংলার সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেন খনন করে। রাজা বিজয় সিংহের নামানুসারে দীঘিটির নামকরণ করা হয়েছে। এ দীঘির আয়তন ৩৭.৫৭ একর

অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এ দিঘীর চৌপাড় খুব উঁচু ও বৃক্ষশোভিত ।১৯৯৫ সালেফেনীর প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব এ,এইচ,এম নূরুল ইসলাম প্রচুর বৃক্ষচারা রোপন করে বর্তমান এ পরিবেশের সৃষ্টি করেন ।ফেনীর ঐতিহ্যবাহী দিঘীর মধ্যেবিজয় সিংহ দীঘিঅন্যতম । এ দিঘী দেখার জন্য জেলার এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেপ্রতিনিয়তদর্শনার্থীরা আসে ।

Read more

বিজয় সেনের কাছে পাল সাম্রাজ্যর পতন

রামপাল ছিলেন পাল রাজবংশের সর্বশেষ শক্তিশালী শাসক। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র কুমারপালের রাজত্বকালে কামরূপ রাজ্য-এ একটি বিদ্রোহ মাথাচাড়া দেয়। বৈদ্যদেব এই বিদ্রোহ দমন করেন। কিন্তু কুমারপালের মৃত্যুর পর বৈদ্যদেব কার্যত একটি পৃথক রাজ্য স্থাপন করেন।কুমারপালের পুত্র তৃতীয় গোপালকে তার কাকা মদনপাল খুন করেন।

মদনপালের শাসনকালে পূর্ব বাংলার বর্মণরা স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ওড়িশায় পূর্ব গঙ্গা রাজবংশ-এর সঙ্গে সংঘাত পুনরায় ঘনীভূত হয়। মদনপাল গহদবলদের কাছ থেকে মুঙ্গের অধিকার করেছিলেন। কিন্তু বিজয় সেন তাকে পরাজিত করে দক্ষিণ ও পূর্ব বাংলা নিজের নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১১৬২ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ গোবিন্দপাল নামে এক রাজা অধুনা গয়া জেলার ভূখণ্ডে রাজত্ব করতেন। কিন্তু পাল সম্রাটদের সনেগ তার কোনও সম্পর্ক ছিল বলে সুদৃঢ় প্রমাণ পাওয়া যায় না। পাল সাম্রাজ্যের পতনের পর সেন রাজবংশ বাংলা শাসন করতে শুরু করে।

Read more

মহীপাল

প্রথম মহীপাল ছিলেন পাল সাম্রাজ্যের একাদশতম সম্রাট ও পালাধিপতি দ্বিতীয় বিগ্রহপালের পুত্র। তিনি তার রাজত্বকালে পিতার হৃতরাজ্য পুনর্বিজয় করে বিলুপ্ত সাম্রাজ্যের বৃহদাংশ উদ্ধার করেছিলেন। বাংলার লোকশ্রুতিতে মহীপালের কীর্তি গৌরবান্বিত হয়ে আছে। তিনি আনুমানিক ৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন

প্রথম মহীপাল ও পরবর্তী পাল রাজাদের আমলের মুদ্রা :

Read more

পাল সাম্রাজ্য

পাল সাম্রাজ্য (৭৫০-১১৬১ খ্রি) ভারতীয় উপমহাদেশের ধ্রুপদি পরবর্তী যুগের একটি সাম্রাজ্য ছিল। এই সাম্রাজ্যের উৎসস্থল ছিল বাংলা অঞ্চল। পাল সাম্রাজ্যের নামকরণ করা হয় এই সাম্রাজ্যের শাসক পাল রাজবংশের নামানুসারে। পাল সম্রাটদের নামের শেষে ‘পাল’ অনুসর্গটি যুক্ত ছিল। প্রাচীন ভাষায় এই শব্দটির অর্থ ‘রক্ষাকর্তা’। পাল সম্রাটেরা বৌদ্ধধর্মের মহাযান ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়ের অনুগামী ছিলেন। এই সাম্রাজ্যের পত্তন ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের সম্রাট পদে গোপালের নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে ঘটেছিল।অধুনা বাংলা ও পূর্ব বিহারের ভূখণ্ড পাল সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল।

পাল সাম্রাজ্য পতাকা

পাল সম্রাটরা প্রাজ্ঞ কূটনীতিবিদ ও সামরিক বিজেতা ছিলেন। তাদের সেনাবাহিনীর বৈশিষ্ট্য ছিল একটি বৃহৎ যুদ্ধহস্তী বাহিনী। তাদের নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করত। পাল সম্রাটরা ছিলেন ধ্রুপদি ভারতীয় দর্শন, সাহিত্য, চিত্রকলা ও ভাস্কর্যশিল্পের বিশিষ্ট পৃষ্ঠপোষক। তারা একাধিক বৃহদায়তন মন্দির ও মঠ নির্মাণ করিয়েছিলেন। এগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল সোমপুর মহাবিহার। তারা নালন্দা ও বিক্রমশিলা মহাবিহারের পৃষ্ঠপোষকতাও করতেন। শ্রীবিজয় সাম্রাজ্যতিব্বতি সাম্রাজ্য ও আরবের আব্বাসীয় খিলাফতের সঙ্গে পাল সাম্রাজ্যের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। বাগদাদের বাইতুল হিকমাহ এই যুগেই ভারতীয় সভ্যতার গাণিতিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞান-সংক্রান্ত কীর্তিগুলির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল।

Read more